ঢাকা: ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য সরকারের অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছেন তার সব প্রজেক্ট রাখা হয়েছে রাজধানীকেন্দ্রিক। এখানে গ্রামের দরিদ্র অবহেলিত মানুষের প্রতিফলন হয়নি।
শুক্রবার (০৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়তে হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম।
মঈন খান প্রশ্ন তুলে বলেন, কার বাজেট কে দেয়? যারা বাজেট দিচ্ছে তারা কি জনগণের প্রতিনিধি? তবে জনগণের বাজেট দেওয়ার কি অধিকার আছে তাদের?
আর এ কারণেই বাজেট প্রস্তাবনায় সব রাজধানী কেন্দ্রিক বড় বড় প্রজেক্টের কথা বলা হয়েছে। এখানে গ্রামের অবহেলিত মানুষের জন্য কোনো প্রজেক্ট নেই বলে যোগ করেন তিনি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এ সরকার দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ঢাকা। যার প্রতিফল হয়েছে বাজেটে। শুনেছি, পাঁচশ সাতশ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে গেলে নাকি বলা হয় কি প্রজেক্ট এনেছো, দশ হাজার-বিশ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট আনো। অনুমোদন দিয়ে দেব।
জিয়াউর রহমানের জীবনের ওপর আলোচনায় তিনি বলেন, বর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধে স্বপক্ষের শক্তি বলে পরিচয় দেন, তাদের কাউকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাওয়া যায়নি। তারা বর্ডার পার হয়ে ওপারে চলে গিয়েছিলেন। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ যখন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হয়েছিলো, তখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নেতাদের ডাকা হয়েছিলো। তারা জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন, ইউ আর দ্যা মেজর, উই আর মাইনর। তাই ঘোষণা আপনিই দেন। অথচ সামরিক বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় এ ধরণের কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার পরিণতি কি, তা তিনি জানতেন। তারপরও মেজর জিয়া সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে বলেন, ভোটের আগের দিনই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে। এভাবে কোনো নির্বাচন হতে পারেনা। তাই আজকে দেশ যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করতে হবে।
জিয়াউর রহমানকে আলোচনা করতে ৩৫ বছর লাগবেঃ
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সাড়ে তিন বছরের যে রাজনৈতিক জীবন জিয়াউর রহমানের, তা আলোচনা করতে গেলে পাঁচ মিনিট, ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট বা ১৫ দিনে হবে না। যে কর্মময় জীবন তিনি রেখে গেছেন তা আলোচনা করেত গেলে ৩৫ বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, জিয়ার আদর্শময় জীবন নিয়ে হয়তো ইতিহাসের বইয়ে কিছু লেখা হচ্ছেনা। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে রক্তের অক্ষরে বুকের ভেতর সে ইতিহাস লিখতে হবে। জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে কোনো লাভ হবেনা। তার আদর্শকে লালন করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৫
ইইউডি/বিএস