ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

তিন সিটি নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ বললো টিআইবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৫, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
তিন সিটি নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ বললো টিআইবি

ঢাকা: ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এ তিন সিটি নির্বাচনকে ‘নজিরবিহীন কারচুপির নির্বাচন’ হিসেবে মন্তব্য করেছে বার্লিন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা অফিস।



বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক বিবৃতিতে টিআইবি তিন সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগ ও সহিংসতা, ভোটদানে বাধা প্রদান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে।

নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা মানুষের ভোটের অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে। একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানই নিজেদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করেছে বলে মনে করছে টিআইবি।

অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাঝপথে নির্দলীয় এই নির্বাচন বিতর্কিতভাবে বর্জন করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও নতুন করে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান  বিবৃতিতে বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ও পেশী-শক্তির প্রয়োগে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হওয়ায় সদ্য-সমাপ্ত তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনী আইন প্রয়োগসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ব্যাপক কারচুপির নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অস্বীকার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বিব্রত করেছে। যথাযথ দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন শুধু যে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ও জন আস্থা ধুলিসাৎ হয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, পেশীশক্তি দমনসহ আইনের লঙ্ঘন প্রতিহত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নির্বাচনের জন্য সুস্থ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি এবং ভোট প্রদানে নাগরিকদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা একদিকে নিরব দর্শক ও অন্যদিকে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। তারা যে শুধু ব্যর্থই হয়েছে তাই নয়, বরং ক্ষেত্র-বিশেষে রাজনৈতিক শিখণ্ডী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ওপর মহলের নির্দেশের অজুহাত দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়ে এই বাহিনী নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত তিন সিটি নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণে ইতিবাচক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন সামগ্রিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঝুঁকি আবারও সৃষ্টি হয়েছে, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
এডিএ/আরএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।