ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া ঠিক হবে না: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৪, মে ২২, ২০২৫
মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া ঠিক হবে না: দুদু

ঢাকা: ড. মোহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। সেই দেশটাকে মানবিক করিডোরের নামে যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

 

এদিকে না গিয়ে দেশকে রক্ষা, যুদ্ধ মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে রাখাইনে মানবিক করিডোর ও চট্রগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। সে দেশটাকে মানবিক করিডোরের নামে যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি ড. ইউনূসকে অনুরোধ করবো, এদিকে না এগিয়ে আপনি বরং বাংলাদেশের মানুষকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, যুদ্ধমুক্ত রাখা যায় এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। যে নির্বাচন আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে পাইনি, কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেছে। আজকের যে প্রজন্ম, যাদের বয়স ২৫-৩০ বছর; তারা একটা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটের ব্যবস্থা করেন এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটা বন্দর নিয়ে কথা উঠেছে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক যিনি বর্তমান সরকার প্রধানের সহকারী উপদেষ্টা, তিনি বলেছেন কারো সঙ্গে কোন আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। তার এ বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, এ সরকার শুধুমাত্র একটি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) চলে যাবে। এটা কোনো রেগুলার সরকার নয়, নির্বাচিত সরকার নয়। অনেক উপদেষ্টা বলেছিলেন, তারা নির্বাচিত। আত্মপ্রতারণা করা ঠিক হবে না। দেশের জনগণ আপনাকে (ড. ইউনূস) সম্মানের সঙ্গে বসিয়েছে, সম্মান রক্ষা করে জনগণের সেন্টিমেট অনুধাবন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে দিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কামার-কুমার, রিকশাচালক, কুলি, কৃষক-শ্রমিক তাদেরকে এত অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের রক্তে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে বাংলাদেশে যুদ্ধের সময় ভদ্রলোকের সংখ্যা ছিল কম। গ্রামের কৃষক-শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করেছিল। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান যেমনিভাবে  তরুণ ও শিক্ষার্থীরা করেছে। তেমনিভাবে মুক্তিযুদ্ধেও তরুণ এবং শিক্ষার্থীরা ছিল।

সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, প্রতিবেশী দেশের যে ঘৃণ্য কৌশল, তাদের যে বিরোধিতা এবং ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দেওয়া, তাদের সম্বন্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা মনে করি, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও খেটে খাওয়া মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে রক্ষা করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি মো. শামিম কায়সার লিংকন, কৃষকদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রাজি, সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি ও জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন।

ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ