ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ ভাদ্র ১৪৩২, ২১ আগস্ট ২০২৫, ২৬ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

কুড়িগ্রামে ৫৪০ বিদেশফেরতের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ৯৭ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩২, মার্চ ২০, ২০২০
কুড়িগ্রামে ৫৪০ বিদেশফেরতের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ৯৭ জন ছবি: প্রতীকী

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশফেরত ৫৪০ বাংলাদেশির মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন মাত্র ৯৭ জনকে। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

শুক্রবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলায় বিদেশ ফেরত ৯৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার পর অনেকেই জেলার বাইরেসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছেন এবং অনেকেই ঠিকানা বদল করে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিনে রাখার চেষ্টা করছি।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইতালি, সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৫৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি জেলার নয়টি উপজেলার ফিরেছেন।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা সাতজনের ১৪দিন পার হওয়ায় তাদের স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৯৭ জনের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলার হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করে ৩১টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ১০টি এবং ৮টি উপজেলা হাসপাতালে ২১টি বেড রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, ইমিগ্রেশন সূত্রে বিদেশফেরতদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করাসহ বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্য করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টিন না মানলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, গত ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে যারা কুড়িগ্রামে প্রবেশ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের মাধ্যমে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এফইএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।