ঢাকা, বুধবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ইফতার বেচাকেনায় তুমুল ব্যস্ততা ময়মনসিংহে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৪, মে ৭, ২০১৯
ইফতার বেচাকেনায় তুমুল ব্যস্ততা ময়মনসিংহে ইফতার সামগ্রী নিচ্ছেন এক নারী, ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবারও এসেছে মাহে রমজান। বরকত আর পুণ্য লাভের মহিমায় মাসের প্রথম দিনেই বদলে গেছে ময়মনসিংহ নগরীর মানুষের নিত্যদিনের জীবনধারা। গোটা নগরীতেই পবিত্র মাসের ছোঁয়া লেগেছে।

রোজাদাররা পানাহার থেকে বিরত থেকে প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন অফুরন্ত রহমতের মাসের তাৎপর্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি অফিস-আদালতেও মহিমান্বিত মাসের প্রভাব পড়েছে।

ক’দিন আগেই নির্ধারিত হয়েছে নতুন সময়সূচি। পাড়ার দোকান থেকে শুরু করে আধুনিক রেস্টুরেন্টেও জমজমাট ইফতারের আয়োজন হয়েছে।

ক্লান্ত শরীরে নতুন নির্ধারিত সময়ে বাড়ি ফেরার সময়েই এসব ইফতার সামগ্রীর দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। আবার প্রথম রমজান হওয়ায় ভিড় সামলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুরের পরপরই ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল মোড়, নতুন বাজার, গাঙ্গিনারপাড়, সিকে ঘোষ রোড, চরপাড়া, ব্রিজ মোড়সহ প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ইফতার বেচাকেনার তুমুল ব্যস্ততা চোখে পড়েছে।

বাহারি রঙ ও স্বাদের ইফতারি আইটেমের খুঁজে জীবনের এই ব্যস্ততা শেষ হবে মাগরিবের আজানের খানিক আগে। গোটা রমজানজুড়েই নগরীর এসব ইফতার সামগ্রীর দোকানগুলো থাকবে উৎসবের কেন্দ্র হিসেবে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা থেকেই প্রতিটি দোকানে দোকানে শুরু হয়ে যায় ইফতার তৈরি। তখন ভাজা শুরু হয় পেঁয়াজু, আলুর চপ ও বেগুনির মতো আইটেমগুলো। আর সর্বত্রই মিলছে সাধারণ ছোলা-মুড়ি, পেঁয়াজু, খেজুর, জিলাপি, বেগুনি এবং আলুর চপ।

ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিকেল থেকেই হাঁক দেওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। মাগরিবের আজানের আগেই দোকানগুলোতে ফুরিয়ে যাবে ইফতার সামগ্রী।

গতবারের মতো এবারও নগরীর সারিন্দা, ধানসিঁড়ি, রোমথ্রিসহ নামি রেস্টুরেন্টগুলোতে শামী কাবাব, জালি কাবাব, চিকেন ছাছলিক, মাটন চাপসহ হরেক রকমের কাবাব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

প্রথম রমজান হওয়ায় অনেকেই আবার বাড়িতে নিজেরাই ইফতার সামগ্রী তৈরি করেছেন। তবে ইফতারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ জিলাপি কিনতে ঠিকই তাদের ছুটতে হচ্ছে দোকানে। এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের স্পেশাল জিলাপির পাশাপাশি বরাবরই চাহিদার শীর্ষে থাকে জিলা স্কুল মোড়ের জাকির মিয়ার ডাল-চালের চুটকি জিলাপি।

নগরবাসীর কাছে এ জিলাপির কদর আলাদা, বলছিল চরপাড়া থেকে আসা জাবেদ-সুমাইয়া দম্পত্তি। খুদে ব্যবসায়ী জাবেদ বাংলানিউজকে বলেন, আলাদা একটি স্বাদ রয়েছে জাকিরের জিলাপির মধ্যে। ইফতারে পূর্ণতা পেতেই এ জিলাপির দোকানে আসা। পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করবো।

ইফতারে মুখে স্বাদ আনতে অতুলনীয় সারিন্দার স্পেশাল হালিম। ১৬০ থেকে ৩২০ টাকা পাতিলে বিক্রি হচ্ছে খাবারের এই পদটি। নগরীর নানা প্রান্ত থেকেই লোকজন ভিড় জমান এ হালিমের স্বাদ নিতে।

সারিন্দা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হালিম ছাড়া ইফতার জমে না। তাই গোটা নগরীতেই আমাদের হালিমের আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে।

ইফতারে ভাজাপোড়ার পাশাপাশি পানীয় ও ফলের দোকানেও জমজমাট পরিবেশ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অসহনীয় তাপদাহের সন্ধ্যার ইফতারে ডাবের পানিতে তৃষ্ণা নিবারণ করতে আগেভাগেই ছোটাছুটিও দেখা গেছে।

নগরীর স্বদেশী বাজার, সানকিপাড়াসহ কয়েকটি স্পটে ছোট আকারের ডাব ৪০ এবং বড় আকারের ডাব ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এমএএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।