ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘বাদুরতলা স্কুল’ নামে পরিচিত বিদ্যালয়টি।
স্থানীয়রা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধ করা না গেলে যেকোনো সময় পুরো বিদ্যালয় ও পাশের জামে মসজিদ নদীগর্ভে চলে যাবে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া।
শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়টি ভেঙে গেলে আমাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এটি রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য একাধিকবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্লক বা বড় গাছের পাইলিং না হলে পুরো বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে তলিয়ে যাবে।
স্থানীয়রা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমের আগেই বিষখালী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। তীব্র ভাঙনে বাদুরতলা লঞ্চ টার্মিনাল, বাদুরতলা বাজার ও আশপাশের এলাকার সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাদুরতলা জামে মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা।
মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয় ও বিষখালির ভাঙনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বিদ্যালয়টি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছি। অর্থাভাবে সেটাও সম্ভব হবে কি-না তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এমএস/একে