তবে লোভনীয় স্বাদের এসব খাবার কিন্তু আবার সব সময় মেলে না। ইচ্ছে থাকলেও একসঙ্গে এতোসব আইটেম মেলানো যায় না।
এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। অতীত সুনাম আর ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় রমজানের প্রথমদিনেই লোভনীয় স্বাদের এসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করেছেন বগুড়ার ব্যবসায়ীরা।
তবে এরমধ্যে বেশ কয়েক আইটেমের খাবার পেতে হলে আপনাকে অর্ডার দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে নির্ধারিত সময়েই আপনার টেবিলে পৌঁছে যাবে আপনার পছন্দের খাবার। অথবা আপনি পার্সেল করে তা বাসায়ও নিতে পারেন।
আর এসব খাবার তৈরিতে শতবর্ষী আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল অন্যতম। পাশাপাশি হোটেল শ্যামলী, কোয়ালিটি, এশিয়া, সেলিমসহ আরও কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁও রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বগুড়াকে নানা কারণে ঐতিহ্যের শহর বলা হয়। এই শহরের তৈরি দইয়ের খ্যাতি শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও রয়েছে। এছাড়া নানা ইতিহাস-ঐতিহ্যের কারণেও মানুষ বগুড়াকে চেনে।
এসব বিবেচনায় রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাহারি আইটেমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করে। তবে ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রে নানা শ্রেণী-পেশার ক্রেতা সাধারণের রুচি ও ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টিও মাথায় রাখেন।
তবে প্রথম রমজানের কারণে এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ইফতার সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি করতে সকাল থেকেই প্রস্তুতি নেন। কেননা নামিদামি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ছোট-বড় হোটেল, ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমী দোকানিরা ইফতার সামগ্রী বানান। এজন্য ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমী দোকানিদের জায়গা ঠিক করা ও দোকানপাট গুছিয়ে নেওয়ার কাজটা আগেই সারতে হয়।

হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন বাংলানিউজকে বলেন, ঐতিহ্যের ধারায় চালিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় ইফতার করতে চাইলে রোজাদার ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে কমপক্ষে আধাঘণ্টা আগে আসতে হবে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানগুলোয় নির্ধারিত আসন থাকে।
সেই হিসেবে প্লেটে রকমারি আইটেমের ইফতার সাজিয়ে টেবিলের আসন অনুযায়ী রাখা হয়। আর আসন ভরে গেলে তখন কোনোকিছু করার থাকে না। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ নামিদামি ব্যানারের এসব প্রতিষ্ঠানে ইফতার করতে আসেন। যোগ করেন আব্দুল মোমিন।
এদিকে ছোট-বড় হোটেল, ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমী দোকানিরা দুপুর থেকেই তাদের দোকান ইফতার সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। ইফতারের সময় গড়িয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব দোকানে বেচাবিক্রির চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দোকানিদের যেন দম ফেলার ফুসরত থাকে না তখন।
তবে ইফতার সামগ্রীর দাম প্রত্যেক বছর কমবেশি বেড়েই চলেছে বলে আব্দুর রহমান, শরিফ আহমেদসহ একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন। পেঁয়াজু, ছোলা, খেজুর, বাদাম, জিলাপি, রস বইদা, বেগুনি, চানাচুর, ঝুরি চানাচুরসহ নানা আইটেমের ইফতার সামগ্রীর দাম গতবারের চেয়ে কমবেশি এবারো বাড়ানো হয়েছে। যোগ করেন এসব ক্রেতা।
কিন্তু বড় ব্যবসায়ী বা দোকানিরা দাম বাড়ানোর অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের ভাষ্য, ইফতার সামগ্রী তৈরি করার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদেরও দাম বাড়াতে হয়।
এতে বেশি পুঁজি খাটাতে হলেও লাভ কিন্তু বরাবরের মতোই করছেন দাবি ব্যবসায়ী বা দোকানিদের। বাংলানিউজকে এমনটাই জানালেন হোটেল ব্যবসায়ী সেলিম সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এমবিএইচ/এএ