মঙ্গলবার (০৭ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় চর্চা ও কার্যক্রম, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, টেকসই উন্নয়ন, তৈরি পোশক শিল্প, এবং ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির দ্বি-পাক্ষিক সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আন্তঃসংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন এবং উভয় সংসদের সংসদ সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দু’টি অধিবেশন শেষ হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্যই বর্তমানে জনগণের পক্ষে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ছাড়াও একজন ব্যতীত বিএনপির সকল সংসদ সদস্য সংসদে যোগ দিয়েছেন। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের উপস্থিতি সংসদীয় কার্যক্রমকে অর্থবহ করে তোলে। প্রথম অধিবেশনই ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কমিটিগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
আন্তঃসংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের সংসদের সম্পর্কের মাঝে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশিরা নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইতালির সেন্ট্রাল ব্যাংকের গত বছরের তথ্য অনুযায়ী ইতালি থেকে বাংলাদেশে ৭ মিলিয়ন ইউরো রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক, বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। এ সফলতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তৈরি পোশাক শিল্পসহ বাংলাদেশের উন্নয়নের যেকোন প্রশ্নে ইতালি বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সকল সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এসকে/এমজেএফ
