মৃত্যুর আগে আপনজনের মুখ দেখারও সৌভাগ্য হল না তার। পুলিশ, চিকিৎসক ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের নানা চেষ্টা ব্যর্থ করে মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেল বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুটি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি তাকে সুস্থ করতে। সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। খুলনা নেয়ার আগেই দুপুর দুইটার দিকে মারা যায় সে।
শিশুটিকে উদ্ধারকারী এমএম আহসান আলী বলেন, মাজার থেকে তুলে এনে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। নিয়মিত খোঁজ খবরও নিয়েছি কয়েকদিন। চিকিৎসকের মাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে।
বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার এসএম নাজমুস সাকিব বলেন, চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু খুলনা নেয়ার আগেই শিশুটি মারা গেল।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, চিকিৎসকের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় (১৩) প্রতিবন্ধী শিশুটি মারা গেছে। ওই শিশুটির পরিবারের সন্ধ্যানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। যদি পরিবারের কাউকে না পাওয়া যায় তাহলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের সহায়তায় দাফনের ব্যবস্থা করব।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে বাগেরহাটের খানজাহান আলীর (রহ) মাজারের ভেতরে পূর্বপাশের একটি চকির ওপর থেকে শিশুটিকে তুলে এনে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন সুন্দরঘোনা গ্রামের এমএম আহসান আলী। এরপর থেকে শিশুটিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দিচ্ছিল কর্তৃপক্ষ।
** বাগেরহাটে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী শিশুটি কার?
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ৭ মে ২০১৯
আরএ