জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারো ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কোড়ালিয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক কলার চাষ করেছেন। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
চাষিরা জানায়, এ বছর কলার অনেক ভালো ফলন হয়েছিল। যে মুহূর্তে কলা বাজারে বিক্রির সময় এসেছে ঠিক সে সময়ে ঝড় সব কেড়ে নিয়েছে।
কলা চাষি ফরিদ সর্দার বাংলানিউজকে বলেন, এনজিও থেকে ৪৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৪০ শতংশ জমিতে কলার আবাদ করেছি, কিন্তু ঝড়ে বেশিরভাগ কলাগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলা চাষি হাবিবুল বাংলানিউজকে বলেন, বাগানে ১২০০ কলা গাছ ছিল। ঝড়ে ৭০০ গাছ ভেঙে গেছে। ২০০টি কলা গাছ থাকলেও তারও নাজুক অবস্থা। এবার লোকসান হওয়ার পাশাপাশি ঋণ কাঁধে নিয়ে দিন কাটাতে হবে।
ঋণ আর ধার দেনা করে কষ্টের মধ্যে রয়েছেন কলা চাষি মনির, বাবুল বিশ্বাসসহ অনেকে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা বা পরামর্শ না পেলে চাষিদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়বে। পুরো ইউনিয়নে প্রায় ২০০ কানি জমির কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কলা চাষিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিবভাবে আমরা চাষিদের হেলে পড়া গাছ তুলে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এনটি