ঢাকা, বুধবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ঝড় পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:০৭, মে ৭, ২০১৯
ঝড় পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী গৃহীত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ফণী-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্মিলিতভাবে গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী গৃহীত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পর্যালোচনা করা হয়।  

বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড় ফণী সফলভাবে মোকাবিলা করায় ধন্যবাদ জানান।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় তার মন্ত্রণালয় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জানান, এরূপ দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য সারাদেশে আরও ৭ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজন।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব সভায় অবহিত করেন যেসব জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত করেনি সে সব জেলার কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আক্রান্ত জেলায় নিযুক্ত করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লাইন জরুরিভাবে মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে সব জেলায় বিদ্যুৎ সচল।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সভায় অবহিত করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৬৬৫ কিমি বাঁধের মধ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী’ জনিত কারণে ২৪৩টি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে দু’টি বাঁধে বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়। অবশিষ্ট ২৪১টি বাঁধ মেরামত/রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে।  

মুখ্য সচিব দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেন।

কৃষিসচিব সভায় জানান, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য কার্যক্রম প্রণয়নে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

৭ মে ২০১৯ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে উপস্থিত থাকবেন। সভায় ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯ 
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।