রোববার (০৫ মে) দুপুরে উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোমবার (০৬ মে) বিকেলে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে কামাল পালিয়ে যান।
নির্যাতিত ইসমাইল উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
কামাল হোসেন বয়াতী ধানসাগর ইউনিয়নের ৪নং খাদা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, কামালের সঙ্গে কাঠের ব্যবসা করতেন ইসমাইল। এক পর্যায়ে কামালের কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা হয় ইসমাইলের। পাওনা টাকা আদায়ে রোববার ইসমাইলকে ডেকে এনে মারধর করে শিকলে বেঁধে রাখে কামাল ও তার সহযোগীরা।
ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, পাওনা টাকার মধ্যে সাত হাজার টাকা পরিশোধ করলেও আমাকে এ পর্যন্ত মুক্তি দেয়নি। আমার কাছ থেকে জোর করে কামাল সাদা কাগজে একাধিক স্বাক্ষর নিয়েছে।
কামাল বয়াতী বাংলানিউজকে বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে ইসমাইল আমার কাছ থেকে টাকা নেন। টাকা না দেওয়ায় আমি তাকে শিকল দিয়ে বেঁধেছিলাম। পরে আবার ছেড়েও দিয়েছি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের অভিযান টের পেয়ে কামাল ও তার লোকজন ইসমাইলকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা ইসমাইলের কাছে সবকিছু শুনেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এনটি