এছাড়াও গত ১৫ বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে খামারিদের উৎপাদিত তরল দুধের দাম প্রতিলিটার ৭৫ টাকা নিশ্চিত করাসহ ১১টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (০৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন।
ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দুগ্ধ প্রসেসিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত দামে তরল দুধের দাম সমন্বয়, এলাকাভিত্তিক খামারিদের দুধ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা তৈরি, ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া, গো-খাদ্য আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার, আধুনিক খামারভিত্তিক সব বৈদেশিক যন্ত্রপাতি আমদানিতে সব শুল্ক প্রত্যাহার, বাণিজ্যিক নয় বরং কৃষির আওতায় দুগ্ধ খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল আনা, পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্পের মতো দুগ্ধ খামারিদের আগামী ২০ বছরের জন্য আয়করমুক্ত বা ট্যাক্স হলিডে দেওয়া এবং স্বল্প সুদে খামারিদেরও ঋণ বিতরণ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দুগ্ধ খামার ব্যবসা বাংলাদেশে কৃষি ব্যবসার অনেকগুলো ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। দেশে মোট জিডিপির ১৯ শতাংশ আসে কৃষি থেকে। বিগত ৭ বছরে দেশে দুগ্ধ খামারের সংখ্যা (রেজিস্টার্ড এবং আনরেজিস্টার্ড) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২ লাখ, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালের শেষে হয়েছে ৯৪ লাখ মেট্রিক টন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে দুগ্ধ খামার ব্যবসার সঙ্গে প্রায় ১ কোটি মানুষ জড়িত।
দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে এ দেশের কৃষিখাতও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কৃষকরা ধান/গম/ভুট্টা কম দামে বিক্রি করার পর এগুলোর উচ্ছিষ্ট খড় কৃষকদের একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে দুধের চাহিদার ৭০ শতাংশই খামারিরা উৎপাদন করে। খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর দুধের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সাত বছরে উৎপাদনও বেড়েছে তিনগুণ। এ অবস্থায় গুঁড়াদুধের আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় দুগ্ধ শিল্পকে প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এসই/জেডএস