শুক্রবার (৩ মে) রাতে চুয়াডাঙা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পুলিশ নিহত মোমিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মোমিন আলোকদিয়া গ্রামের দিলু মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মোমিন ও সাফায়েত দু’জন ঘনিষ্ট বন্ধু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গেলেও রাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন মোমিন।
নিহত মোমিনের দাদা আসমান আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজের পর শুক্রবার সকালে মোমিনের রক্তমাখা জুতা মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়। সন্ধান জানতে তার বন্ধু সাফায়েতকে জিজ্ঞাস করা হলে মোমিন ঢাকায় চলে গেছে বলে আমাদের জানায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে আমরা পুলিশকে খবর দেই।
চুয়াডাঙা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, স্থানীয় জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সন্দেহভাজন সাফায়েতকে আমরা আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বন্ধু মোমিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মোমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সাফায়েত স্বীকার করেছে গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে বিবাদ দেখা দেয়। এই বিবাদের কারণে সাফায়েত মোমিনকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে মোমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে জবাই করে হত্যার পর গুম করার জন্য মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এএ