ঢাকা, সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

রানি এলিজাবেথের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন সাইদা মুনা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫:৫০, মে ৪, ২০১৯
রানি এলিজাবেথের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন সাইদা মুনা রানি এলিজাবেথের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করছেন সাইদা মুনা তাসনীম

ঢাকা: যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম  রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বাকিংহাম প্যালেসে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বুধবার (১ মে)। এসময় হাইকমিশনারের সঙ্গে তার স্বামী তৌহিদুল আই চৌধুরী ও হাইকমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

শুক্রবার (৩ মে) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, রানির প্রতিনিধি ডিপ্লোম্যাটিক কর্পের মার্শাল অ্যালিস্টার হ্যারিসন কুইন্স গেইটে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আসেন।

হাইকমিশনার, তার স্বামী ও হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে বার্কিংহাম প্যালেসে নিয়ে যান। এসময় প্যালেসের সামনে শত শত দর্শক রাজকীয় বহরের প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়।  

পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ও ব্রিটিশ ডিপ্লোম্যাটিক কর্পের প্রধান স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড, ডিপ্লোম্যাটিক কর্পের অ্যাসিসট্যান্ট মার্শাল এবিগেইল বয়েল এবং রানির একজন প্রতিনিধি প্যালেসের প্রধান ফটকে হাইকমিশনারকে অভ্যর্থনা জানান।  

প্যালেসের নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশের পর মার্শাল হাইকমিশনার ও তার স্বামীকে রানির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর হাইকমিশনার তার পরিচয়পত্র রানির কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় হাইকমিশনার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছাবার্তা রানিকে অবহিত করেন। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা ও ১৯৮৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে রানির সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মনে তিনি এক বিশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার স্থান দখল করে আছেন।

ব্রিটেনের রানি হাইকমিশনারকে যুক্তরাজ্যে সাদর স্বাগতম জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এরপর হাইকমিশনার রানির সঙ্গে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামরিক উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম আমিনুল হক, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. লুৎফুল হাসান, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এসএম জাকারিয়া হক এবং প্রথম সচিব শফিউল আলম।

পরিচয়পত্র পেশ করার পর ডিপ্লোম্যাটিক কর্পের অ্যাসিসট্যান্ট মার্শাল এবিগেইল বয়েল হাইকমিশনার ও তার সঙ্গীদের রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ির বহরে করে বাকিংহাম প্যালেস থেকে সেন্টস জেমস কোর্টে (তাজ হোটেল) নিয়ে যান। সেখানে পরিচয়পত্র প্রদান পরবর্তী এক অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডস ও হাউজ অব কমনওয়েলথ সিনিয়র সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্রিটিশ ফরেন এবং কমনওয়েলথ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।  

সাইদা মুনা তাসনীমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় ও গভীর করবে বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিপ্লোম্যাটিক কর্পের মার্শাল বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ব্রিটেন সব সময় পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে ব্রিটেনের রানি, ব্রিটিশ সরকার, জনগণ ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর করার ব্যাপারে সব সময় আন্তরিক ও সচেষ্ট থাকবেন বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ