ঢাকা, সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪:৪৪, মে ৪, ২০১৯
বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে মানুষের ভিড়

বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো বইছে দমকা হাওয়া। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এরই মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (৩ মে) দিনগত রাত ১২টায় আবহাওয়া অফিসের সবশেষ রেকর্ড অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বরিশালে ৩৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে দিনে থেমে থেমে কয়েকবার বৃষ্টি হলেও রাত ৯টার দিক থেকে একটানা মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে।

দিনে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার হলেও রাতে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।  

বরিশাল আবহাওয়ার অফিসের পর্যবেক্ষক আ. হালিম ভূইয়া বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশর দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী অগ্রসর হওয়ার কারণে বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকালের থেকে এখন বাতাসের গতিবেগও কিছুটা বেড়েছে।

তবে শুক্রবার দিনের প্রথমভাগে বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানে রাত ৯টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসেবে গরমের প্রভাব কিছুটা কমেছে বরিশালে।  

এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে বিভাগের বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের নৌযান চলাচল। পাশাপাশি জনসাধারণকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আগাম সতর্কতামূলক বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী, বরিশালের ১০টি উপজেলায় ৩৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এবং গবাদি পশু-পাখি নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ এগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শুকনো খাবারের পাশাপাশি রাতে খাবারের আয়োজন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।  

পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরিশালের সার্বিক নির্দেশনায় ও তৎপরতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।  

এদিকে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নদ-নদীতে পানির উচ্চতা কিছূটা বেড়েছে, পাশাপাশি সাগরও কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এর ফলে বরিশাল বিভাগের ভোলা-পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ