শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ও রাতে দুই দফায় অন্তত এক ১০০ মিটারে ধস নামে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে সাড়ে চার ফুট বেড়েছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মূসা বলেন, মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় সাড়ে চার ফুট পানি বেড়েছে। জোয়ার ও উত্তাল ঢেউয়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দ টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কমলনগরের ওই বাঁধের ধস ঠেকানো না গেলে পুরো বাঁধ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ না থাকলে মাতাব্বরহাট, উপজেলা সদর হাজিরহাট, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ সরকারি বেসরকারি বহু স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
লক্ষ্মীপুরে ফণী মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে মাইকিং চলছে। তাছাড়া লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীতে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকেও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের ৩৭৫ মেট্রিকটন চাল, দুই হাজার ৫শ বস্তা শুকনো খাবার ও আট লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব পাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসআর/এএ