২তলা বিশিষ্ট ভবনটি আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলানিউজে “সাত মাস ধরে টিনের ছাউনিতে শিশুদের পাঠদান” শীর্ষক নিউজ প্রকাশ করা হয়।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৭ মাস অতিবাহিত হলেও নতুন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দীর্ঘ ৯ মাস পর কাঙ্খিত ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাস খানের আগে যেখানে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কথা ছিল ঠিক সেই জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পিলার তৈরি শুরু হয়েছে। পাশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে পড়াশোনা করছেন কমলমতি শিশুরা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, টিনের ছাউনির নিচে পড়ালেখা করতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। পাশেই হাইস্কুল। সেখানে বড় ভাই-বোনরা মাঠে খেলাধুলা করলে ধুলার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়। ৯ মাস পর আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। অথচ বর্তমান সময়ে আমাদের নতুন ভবনে পড়াশোনা করার কথা ছিল। তারপরও কাজ শুরু হইছে এটাই আনন্দ। ৯ মাস অপেক্ষা করতে পেরেছি তো আর ৬ মাস অপেক্ষা করতে পারব।
অভিভাবক আফসার আলী বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হওয়ার কথা অনেক আগে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অনেক দেরি হল। এতে এখানকার কমলমতি শিশুদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ঠিকাদারী কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, টেন্ডার তো অনেক আগে হয়ে গেছিল। কিন্তু আমরা কার্যাদেশ দেরিতে পেয়েছি। তাই আমাদের কাজ শুরু করতেও দেরি হলো। এখানে আমাদের করার কিছু ছিল না। আমরা যদি কার্যাদেশ না পেয়ে আগে কাজ শুরু করতাম তাহলে আমাদের বিল আটকে দিত। তাই বাধ্য হয়ে কার্যাদেশ পেয়েই তারপর কাজ শুরু করেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানম জানান, বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের ৫দিন পর স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়ে এসে সমীক্ষা কার্যক্রম করে যান। এরপর থেকে বিদ্যালয়টির নির্মাণের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে। অবশেষে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুশি।
দিনাজপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, কিছু সমস্যার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ২ তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
আরএ