মৃত ওই গৃহবধূর বড় ভাই অরবিন্দ আচার্য্য বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত দীপিকা নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌরসভার ছোট মাধবদী গ্রামের স্বর্গীয় শ্রী রনজিত আচার্যের মেয়ে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে দীপিকা আচার্য্যের গায়ে কেরোসিন ঢেলে তার স্বামী বিপুল আচার্য আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ মে) দীপিকার ভাই তিনজনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধূর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামের দীপিকার স্বামী বিপুল আচার্য্য (৩৫), বিপুলের বড় ভাই স্বজন আচার্য্য (৪৫) ও তার মা সন্ধ্যা আচার্য্য (৬০)।
শুক্রবার (৩ মে) হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আসামিদের চাঁদপুর আদালতে পাঠায়। আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কফিল উদ্দিন আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ৮ বছর আগে দীপিকার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বিপুলের। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দেয়। এরই সূত্রধরে দীপিকার স্বামী বিপুল আচার্য্য, ভাসুর ও শাশুড়ি ৩০ এপ্রিল রাতে দীপিকার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে রাতেই দীপিকাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকেই পরদিন তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপিকার মৃত্যু হয়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ দীপিকার মৃত্যুর খবরটি আমরা শুনেছি। গ্রেফতার ৩ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীপিকার ভাই অরবিন্দ আচার্য্যর দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলা বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
আরএ