এরা হচ্ছেন, উপজেলা সদরের ঝগড়মান গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. বাহাদুর (৩৫) ও কস্তুরিপাড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মনির হোসেন (২০)।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরের সাকরা শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাহাদুর ও মনিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে আছে পরিবেশ। সান্ত্বনা দিতে এলাকার মানুষ ভীড় করছেন নিহত দুইজনের বাড়িতে।
বাহাদুর ছিলেন অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার স্ত্রী প্রতিবন্ধী, একমাত্র মেয়েও প্রতিবন্ধী, মা-বাবা অসুস্থ এবং ছোট বোনও বাক-প্রতিবন্ধী। বাহাদুর নিহত হওয়ায় তার পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
বাহাদুরের প্রতিবন্ধী স্ত্রী রাশেদা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, অন্যের কাছ থেকে টাকা সুদে এনে তার স্বামী বিদেশ পারি জমিয়েছিল। তার স্বামীই ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এখন তাদের সংসার কে চালাবে। অন্যের সুদের টাকাই বা কে শোধ করবে। একইসঙ্গে তিনি তার স্বামীর লাশ এনে দেয়ারও দাবি জানান।
নিহত মনির হোসেনের বাড়িতে গিয়েও একই অবস্থা দেখা যায়। মনিরের বাবা শামছুল হক ইরাক প্রবাসী। এক মাস আগে কাজ করার সময় মেশিনে তার বাম হাতের চারটি আঙ্গুল কাটা পড়ে। বর্তমানে তিনি ইরাকে চিকিৎসাধীন আছেন। এ খবরের শোক কাটতে না কাটতেই ছেলেকে হারিয়ে মনিরের মা বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
এলাকাবাসী সান্ত্বনা দেয়ার ভাষাটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। মনিরের মা মমতাজ বেগম ছেলের লাশটা নিয়ে আসার দাবি জানান।
কালিহাতী পৌরসভার মেয়র আলী আকবর বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবন্ধী পরিবারের বিষয়টি তার আগে জানা ছিল না। অতি দ্রুত পরিবারের সবার জন্য প্রতিবন্ধী কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
আরএ