দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকেই মহানগরীতে বিভিন্ন শ্রমিক, পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, পথসভা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে থেকে যৌথভাবে শোভাযাত্রা বের করে বিভাগীয় শ্রম দফতর, শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়াতন ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র।
পরে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগ শোভাযাত্রা বের করে।
এছাড়া রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি ও রাজশাহী শহর সংবাদপত্র শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শোভাযাত্রা বের করে। শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে বোর্ড চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে আবারও শিক্ষা বোর্ড চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিক্ষা বোর্ড চত্বরে দিবসের ওপরে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মহান মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি পৃথিবীর সব পেশার শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্ব এবং চরম দারিদ্র্য নিয়ে জীবনযাপন করার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া সকাল ১০টায় মহানগরীতে শোভাযাত্রা করে খেলাঘর আসর, অনুশীলন পাঠাগার, সমগীত, মাদল, মুক্তপাঠ ও ম্যাজিক লণ্ঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে হাতে ছিল শ্রমিকদের নায্য দাবি আদায়ের বিভিন্ন রকম স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড। শোভাযাত্রাগুলো মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী ইমারত শ্রমিক ইউনিয়ন, বস্ত্র কর্মচারি ইউনিয়ন, জনতা ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং সিপিবি মহানগরীতে পৃথক শোভাযাত্রা বের করে।
দিবসটি উপলক্ষে হোটেল-রেস্তোরাঁও বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ব্যবাসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ দোকানপাট বন্ধ থাকায় মহানগরী প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। তবে রিকশাসহ হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এসএস/জেডএস