চীনের আকুপাংচার, আকুপ্রেশার চিকিৎসাব্যবস্থা সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে ব্যথা উপশমে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার জুড়ি নেই।
শিনজিয়াং প্রদেশের শানজি শহরের জিনজিয়ান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি চলছে ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসা। হাসপাতালে রয়েছে একটি ট্র্যাডিশনাল মেডিক্যাল বিভাগ। আকুপাংচার, আকুপ্রেশারসহ ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতালের ট্র্যাডিশনাল মেডিক্যাল বিভাগের পরিচালক জং ফুয়াং শিনজিয়াং বুধবার (২৪ এপ্রিল) সফররত বিদেশি সাংবাদিকদের বলেন, চীনের ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগীদের আস্থা কমেনি। আমরা হাসপাতালে অত্যন্ত আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে আসছি। একই সঙ্গে ট্র্যাডিশনালও চালিয়ে যাচ্ছি।
অনেক রোগের ক্ষেত্রেই ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসাব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর বলেও জানান তিনি।
প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে চীনে ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসাব্যবস্থা চালু রয়েছে। শরীরে সুই ফুটিয়ে ব্যথা উপশমের পদ্ধতি এখনো ধরে রেখেছেন চীনা চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে মেরুদণ্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যথা সারতে আদা, রসুনসহ নানা ধরনের ভেষজ ওষুধ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রাখার পর সেখানে আগুন ধরিয়েও চিকিৎসা দেন চীনা চিকিৎসকরা। শিনজিয়াং হাসপাতালেও এমন চিকিৎসা দিতে দেখা যায়।
শিনজিয়াং মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন ইউয়ান। চিকিৎসার পাশাপাশি এখানে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাও করা হয়। হাসপাতালে ৭৮৮ জন ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও ককর্মচারী, ৩৪টি ক্লিনিক ডিপার্টমেন্ট, ৭টি মেডিক্যাল টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট, ১১টি কার্যকরী ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। অত্যন্ত আধুনিক এই হাসপাতালে ট্র্যাডিশনাল চিকিৎসাও থেমে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
টিআর/এএ