জানা যায়, পার্বতীপুর রেল স্টেশনে ব্রডগেজ (বিজি) সেকশনে দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরে এসএসএই (ওয়ে) অফিসের সামনে থেকে দক্ষিণে ইয়ার্ড পর্যন্ত ৭০৮ মিটার করে ২ ও ৩নং রেলপথ সংস্কার করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২নং রেলপথ সংস্কারে ১ কোটি ১২ লাখ এবং ৩নং রেলপথ সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়েছেন রেলওয়ে ঠিকাদার মেসার্স বদরুল আলম (রাজশাহী)। মেসার্স বদরুল আলমের কাছ থেকে সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে পার্বতীপুরের নিউ কলোনীর জনৈক বাবু।
অভিযোগ রয়েছে, পার্বতীপুর রেল জংশন স্টেশনের সীমানা প্রাচীর, স্টেশন ভবনের ছাদ সংস্কার, প্লাটফর্মের টিনসেড, প্লাটফর্ম উঁচু করণসহ রেলের সবধরনের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং কতিপয় দায়িত্বশীল রেল কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের দায়িত্বশীল দুই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী প্রতিটি রেললাইন উত্তোলনের পর ১ ফুট ৯ ইঞ্চি (২১ ইঞ্চি) গভীরতা করে বক্স আকারে নিচের অংশ (সাববেচ) তৈরি করার কথা। কিন্তু ২১ ইঞ্চির স্থলে মাত্র ১০-১১ ইঞ্চি গভীরতায় সাববেচ করে তার উপর স্লিপার বসানো হয়েছে। তাছাড়া সাববেচ তৈরিতে যে পরিমাপের খোয়া ব্যবহার করার কথা তার চেয়ে অনেক বড় আকারের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে সাববেচ ঠিকমত কমপ্যাক্ট হয়নি। এছাড়া নতুন পাথরের জায়গায় ব্যবহার করা হয় ওই রেলপথের পুরাতন পাথর তাও আবার বরাদ্দ ও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসনে ও পাকশী ডিভিশনের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিইএন-২) আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২১ ইঞ্চির জায়গায় ১০-১১ ইঞ্চি গভীরতায় সাববেচ তৈরি করা হয়েছে। কারণ উপরের মাটি অনেক শক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট পরিমাণ গভীরতা করা হয়নি।
‘তাহলে কী কাজের প্রাক্কলন তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করেননি’ এমন প্রশ্ন করা হলে চিফ ইঞ্জিনিয়ার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এনটি