শনিবার (০৯ মার্চ) দুপুরে অসহায় নির্যাতিত মাকে সন্তানের হাতে তুলে দেওয়ার সময় কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান।
এরআগে, নেত্রকোণা পৌরসভার গজিনপুর গ্রামের বাসিন্দা ছেলে সাঈদুর রহমানের বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না করাসহ জমিজমার জন্য প্রতিনিয়ত নানারকম নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় এসেছিলেন বৃদ্ধা অসহায় মা মোসাম্মাৎ রহিমা আক্তার।
বৃদ্ধা মা মোসাম্মাৎ রহিমা আক্তারের অভিযোগ, ছেলে সাঈদুর তার ভরণপোষণ করেনা। বরং ছেলে জমিজমা লিখে নিতে চাপ প্রয়োগ করতো। জমিজমা লিখে না দেওয়ায় তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি অভিযোগ লেখাতে থানার ওসির দ্বারস্থ হন।
এদিকে, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ওসির নির্দেশে ছেলে সাঈদুরকে আটক করে তাৎক্ষণিক থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সংশোধনের সুযোগ দিয়ে সাঈদুরকে মায়ের কাছে ক্ষমা নেওয়ার পরামর্শ দেন ওসি বোরহান। তখন সাঈদুর নিজের অপরাধ স্বীকার করে মায়ের পায়ে ধরে ক্ষমা চান এবং মুচলেকা দিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত হন।
এ বিষয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, মা-বাবার মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে হাদিসে বহু জায়গায় বর্ণনা এসেছে।
হযরৎ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে- এক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কে আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার বেশি হকদার? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তোমার মা। আবার সেই ব্যক্তি প্রশ্ন করলো- তারপর কে? তখনও তিনি উত্তর করলেন, তোমার মা। একই প্রশ্ন আবারো করার পর আবারো উত্তর আসলো মা। আর মায়ের পরে বাবা।
জান্নাত মায়ের পদতলে প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন জানিয়ে ওসি আরও বলেন, মা-বাবার ভরণপোষণ না করে উল্টো তাদের সঙ্গে কেউ অসদাচরণ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এনটি