ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

বুধবার মন্ত্রিসভায় উঠছে কোটা বাতিলের সুপারিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:২৩, অক্টোবর ৩, ২০১৮
বুধবার মন্ত্রিসভায় উঠছে কোটা বাতিলের সুপারিশ

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ বুধবারের (০৩ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

কোটা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর পর সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যাদিবেসর মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ওই দিন বলেন, আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ আগে যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বলা হতো, সেগুলো নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হবে।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে তার উপর ভিত্তি করেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

সরকারি চাকরিতে বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত চালু আছে। সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি রয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ কোটা বহাল রাখারও দাবি জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।