ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

নিশ্চিন্তে উৎসব করুন, নিরাপত্তা দেবে পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৭, অক্টোবর ২, ২০১৮
নিশ্চিন্তে উৎসব করুন, নিরাপত্তা দেবে পুলিশ সমন্বয় সভায় বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো কোনো গুজবে কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে উৎসব করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। দুর্গাপূজায় উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে সুদৃঢ়, কঠোর, নিশ্ছিদ্র ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দফতরে দুর্গাপূজার নিরাপত্তার বিষয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এবার ঢাকা মহানগরীর ২৩০টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজা মণ্ডপের গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে।

যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে। আপনারা নিশ্চিন্তে দুর্গাপূজার উৎসব করুন, রাষ্ট্র আপনাদের নিরাপত্তা দেবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যেকোনো গুজবের বিরুদ্ধে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কেউ মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্ন করার অপচেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‍পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কি দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অফিসারদের দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে এবং এখান থেকে রাজধানীর সব পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে।

পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের ডিসি ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা গেইটের ব্যবস্থা থাকবে।  মণ্ডপের ভেতরে ও বাইরে জেনারেটরসহ পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন, পুরুষের পাশাপাশি নারী স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন থাকবে। এসবি, ‍পুলিশ ও ৠাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করা ও বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। যাতে কোনো ধরনের ব্যঘাত না ঘটে।

এছাড়া পূজা মণ্ডপ কেন্দ্রিক কোনো হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকান বসাতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরণের মেলা বসতে দেওয়া হবে না। ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে মোতায়েন থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্যরা। পূজা মণ্ডপে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ও তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার কার্যক্রম আগামী ৮ অক্টোবর (সোমবার) শুভ মহালয় দিয়ে শুরু হচ্ছে। ১৯ অক্টোবর (শুক্রবার) বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ আয়োজন।

সমন্বয় সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারি সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।