মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয়পক্ষ কয়েকশ’ রাউন্ড গুলি বিনিময় করে।
ইউপিডিএফ’র ভয়ে জনপ্রতিনিধিসহ জেএসএস এবং তাদের সমর্থিত বেশ কয়েকটি পরিবার নিজেদের এলাকা থেকে পালিয়ে উপজেলা সদরে এসে অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড় ঋষী চাকমাও ভয়ে রাঙামাটি শহরে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় ওই উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের নারী সদস্য শেফালী চাকমা বলেন, আমি কোনো আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িতে নই। অথচ সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে গেছি।
এ ব্যাপারে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোসি চাকমা জানান, বৈসাবি উৎসব উদযাপনের সময় ইউপিডিএফ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা উপজেলা সদর, রুপকারী ইউনিয়ন, বড়াদম, বঙ্গলতলী, করেঙ্গাতলী বারিবিন্দু ঘাট ও বাঘাইহাটের দুর্গম এলাকাগুলোতে জেএসএস সংস্কার গ্রুপের কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা চালায়।
জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানজীবী চাকমা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা ইউপিডিএফ শাখার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, উপজেলা শহর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের পেট্রোল টিম শহরে অবস্থান নিয়েছে। তবে উপজেলা সদরের দুর্গম এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আরএ