মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-বড়লেখা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে আছার উদ্দিন (৩০) এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুল মুতালিবের ছেলে সমজ আলী (২০)।
মামলার অপর দুই আসামি বদরুল ইসলাম ও হারুনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৩ মে বড়লেখা উপজেলার ছাতারখাই গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের পুকুরের পাড় থেকে একই গ্রামের আব্দুল আহাদের (চুনু মিয়া) ছেলে হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ২৬ মে চুনু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বড়লেখায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে অনুসন্ধানে আছার উদ্দিন ও সমজ আলীর নাম উঠে এলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এরপর তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কৃপাসিন্ধু দাশ বাংলানিউজকে জানান, ২০০৬ সালের ২৩ মে আছার উদ্দিন এবং হারুন অর রশিদের মধ্যে টাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এরপর আসামিরা হারুনকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এলাকায় প্রচারণা চালায় রশিদ আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আসামি আছার উদ্দিন, সমজ আলী, বদরুল ইসলাম এবং হারুনকে গ্রেফতার করে।
সাক্ষীদের জবানবন্দি শেষে আছার উদ্দিন ও সমজ আলী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুপুরে বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ডাডলী ডেরিক প্রেন্টিস এবং আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট ডাডলী ডেরিক প্রেন্টিস রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। ন্যায় বিচারের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
আরবি/