ঢাকা, সোমবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি সাংবিধানিক অধিকার: ছবি বিশ্বাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩৫, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি সাংবিধানিক অধিকার: ছবি বিশ্বাস গোলটেবিল আলোচনায় অতিথিরা- ছবি: ডিএইচ বাদল  

ঢাকা: শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছবি বিশ্বাস বলেছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি কোনো অনুকম্পার বিষয় নয়। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা এই জাস্টিস না আনতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে এগুতে পারবো না।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতা সংস্থা একশন এইড আয়োজিত ‘রানা প্লাজা ধসের ৫ বছর: শোভন কর্মস্থল’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।   

তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক অটোমেজেশন হয়েছে।

এখন লাখ লাখ শ্রমিকের কাজ করতে পারে একটি মেশিন। আগে এটা ছিল না। আমাদের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমরা উন্নয়নশীল হিসেবে সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছি। সুতরাং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি, সঠিক ও ন্যায্য মজুরির বিষয়টা এখানে খুব জরুরি।

অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশের বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেন, তিনি অনেক কথা বলেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে পলিসি লেভেলে কথা হবে। যদি ভবিষ্যতে সুযোগ হয়, সংসদে যে শ্রম বিষয়ক কমিটি আছে সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

একশন এইডকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, সত্যকে আমাদের অনুধাবন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে বিচার বিশ্লেষণ করেই মানুষের জন্য, যারা উৎপাদন করে, সমাজকে টিকিয়ে রাখে তাদের দিকে তাকানো প্রয়োজন। শুধু রাজনৈতিক নয়, এটা মানবিক দিকও।  

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ছবি বিশ্বাসের কাছে দাবি রেখে আয়োজক সংস্থা একশন এইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, আপনি যখন সংসদীয় কমিটিতে যাবেন তখন শ্রমিকরা যেন সম্মানজনক- প্রয়োজনীয় একটি ভিত্তি পায় এটার দিকে লক্ষ্য রাখবেন। মূল্যস্ফীতি ও বাস্তবতাকে মাথায় রেখে যেন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ হয়।  

তিনি বলেন, আমাদের যেন কেউ জোর করে কোথাও কাজে পাঠাতে না পারে সেদিকটাও দেখতে হবে। আমাদের শ্রমিকদের রাইটস এনটাইটেলমেন্ট, আইনে যা আছে সেটার প্রয়োগ এবং শ্রমিকরা যেন একটা উন্নত দেশের শ্রমিক হিসেবে পরিচয় পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আশা করি রানা প্লাজায় যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের কথা আমরা ভুলে যাবো না। তাদের জন্য এবং আমাদের নিজেদের জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধি লরি হেনরি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, প্রফেসর ইসরাত ইসলাম, ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের জেনারেল সেক্রেটারি ড. ওয়াজেদুল ইসলাম, পলমল গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মেজর অব. মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ