এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি।
এসময় তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের জন প্রতিনিধিদের নিয়ে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার তথা মুজিবনগর সরকার ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন। এই সরকারের অধীনে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করি। কিন্তু ৭৫ সালে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে ক্ষমতা চলে যায়। তারা বাঙালির গৌরবের ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হায়দার আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, সিদ্দিকুর রহমান, এমডিএ বাবুল রানা, নূর ইসলাম বন্দ, কামরুজ্জামান জামাল, অধ্যাপক আলমগীর কবির, অ্যাডভোকেট অলোকা নন্দা দাস, মকবুল হোসেন মিন্টু, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, মো. মুন্সি জোবায়ের আহমেদ খান জবা, হাফেজ মো. শামীম, মোজাম্মেল হক হাওলাদার প্রমুখ।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভা পরিচালনা করেন- মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুটুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমআরএম/আরআর