ঢাকা, বুধবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

খুলনায় বৈশাখী মেলায় জনস্রোত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫১, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
খুলনায় বৈশাখী মেলায় জনস্রোত মেলা প্রাঙ্গণে নাগরদোলা ঘিরে মানুষের ভিড়/ ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা:  তীব্র তাপদাহের মধ্যেও নেমেছে জনস্রোত। সবার গন্তব্য যেন খুলনার প্রাণকেন্দ্র জাতিসংঘ শিশুপার্কের বৈশাখী মেলা। আসবেনই না কেন! মেলার মাঠে একদিকে চলছে জমজমাট লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; অন্যদিকে রয়েছে নানান চটকদার জিনিসপত্র।

হাতপাখা, মেয়েদের সাজসজ্জার বাহারি রেশমি চুড়ি, রঙ বেরঙের টিপ, বাচ্চাদের খেলনা, মাটির সৌখিন পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী। সেইসঙ্গে রয়েছে মজার মজার মণ্ডামিঠাই-মুড়ি-মোয়াসহ আরো কতো কী!

শনিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার মাঠে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।

ছোটবড় সব বয়সী মানুষ পছন্দের পণ্য কেনায় ব্যস্ত । আর শিশুকিশোর, তরুণ-তরুণীরা ঘুরছে দল বেঁধে। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে মেলায় ঘুরে বেড়ানো, পছন্দের জিনিস কেনাকাটা-খাওয়া দাওয়া আর সাংস্কৃতিক আয়োজন উৎসবে প্রাণের উচ্ছ্বাসে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ বৈশাখী মেলা উপভোগ করছেন। নাগরদোলায় সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড়।

মেলায় ঘুরতে আসা আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুপার্কের বৈশাখী মেলা কখনো মিস করি না। গ্রামে তো আর সবসময় যাওয়ার সুযোগ মেলে না। তাই শহরে এমন ঐতিহ্যবাহী মেলা বেশ উপভোগ করি। এবার ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছি।

খুলনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চার দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও চৈত্র সংক্রান্তির এ অনুষ্ঠান শুক্রবার থেকে আয়োজন করেছে আব্বাস উদ্দীন একাডেমি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ।

আব্বাস উদ্দীন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, আব্বাস উদ্দীন একাডেমি, নৃত্যবিহার ও বাণীচক্রের শিল্পীরা নাচ-গান পরিবেশন করেন। আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য ও রূপকে মেলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এ আয়োজনে।

মেলায় মিষ্টি মিঠাইয়ের দোকানি শামীম বাংলানিউজকে বলেন, শিশুপার্কের বৈশাখী মেলাতে প্রতিবছরই অংশ নিয়ে থাকি। গতবছরের চেয়ে এবার মেলায় বিক্রিবাট্টা ভালো হচ্ছে।

বাঙালির প্রাণের উৎসবকে ঘিরে মেলা এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যৌথভাবে কাজ করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।