‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ এ স্লোগানে শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের শহীদ দৌলত ময়দান থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়।
তরুণরা গায়ে রং-বেরংয়ের পাঞ্জাবি, তরুণীরা লাল-সাদা শাড়িতে হাতে রেশমি চুড়ি আর মাথায় টায়রা পরে, শিশুরা রঙিন জামা পরে হাতে-গালে 'শুভ নববর্ষ ১৪২৫' এঁকে নানা ধরনের প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রাতে অংশ নেয়।

এদিকে বর্ষবরণকে ঘিরে পুরো শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ যৌথভাবে এ নিরাপত্তা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিশেষ মোবাইল টিমে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
এতো কিছুর পরেও মানুষের উচ্ছ্বাস-আনন্দের কোনো কমতি ছিল না। শহরের বিভিন্ন স্থান এবং খোলা মাঠে চলে বৈশাখের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজন করে নাচ-গান আর পান্তা ইলিশের।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, গত বছর আমরা ইউনেস্কোর যে স্বীকৃতি পেয়েছি, এটি আমাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। নতুন বছরে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়বো। উৎসবের মধ্য দিয়েই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এদিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, বিচ এলাকাসহ পুরো শহর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজ করছে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ বিশেষ মোবাইল টিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
টিটি/আরবি/জেএম