এক সময় হবিগঞ্জের উপর দিয়েও প্রবাহিত হত প্রায় ৫০টি নদ নদী। এখন এর অর্ধেকও খুঁজে পাওয়া যায় না।
আর এই নদী রক্ষায় পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিনে হবিগঞ্জের শিরিষতলায় মানববন্ধন ও পথসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
“নববর্ষে বাজে নতুন দিনের গান, নদী বয়ে যাক অবিরত, বাংলাদেশের প্রাণ” শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত ‘হবিগঞ্জের ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ। মূল বক্তব্য রাখেন- খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক জাহান আরা খাতুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জহিরুল হক শাকিলসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠক ও কর্মীবৃন্দ।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, দখল-দূষণে সব নদীই আজ বিপর্যস্ত, সৌন্দর্যহীন, অর্ধমৃত বা প্রায় মৃত হয়ে পড়েছে। নদীর উপর ক্রমাগত অসংযত আচরণ ও অত্যাচারের মহোৎসবে কিছু মানুষ লাভবান হলেও স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। তাই পরিবেশ-প্রতিবেশ এর প্রতি লক্ষ্য রেখে ভরাট ও দখল-দূষণ হয়ে যাওয়া সব নদী পুনরুদ্ধার করে খনন, সচল এবং স্বাভাবিক গতিতে প্রবাহিত করতে হবে। আর তা নাহলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী বিপর্যয় অবধারিতভাবেই সার্বিক পরিবেশ-প্রতিবেশ, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সূত্রপাত করবে।
এর আগে ব্যানার উল্লেখিত হবিগঞ্জ জেলায় একসময় প্রবাহিত হওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক নদীর নাম দেখে কর্মসূচির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে অনেকেই অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
আরএ