শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রার সামনে পেছনে পোষাকধারীসহ সাদা পোষাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। চোখের পড়ার মতো ছিলো র্যাবের টহল। সবমিলে মঙ্গলা শোভাযাত্রা ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিলো পুরো শহর।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে সামনেপানে অগ্রসর হতে থাকে। পেছনে পেছনে চলতে থাকে বিভিন্ন শিক্ষা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে শোভাযাত্রা।
এসব শোভাযাত্রায় নানা ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। প্রত্যেকের হাতে, ভ্যানে, মাথায় বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয়বাহী বিভিন্ন প্রতীকী উপকরণ, রং-বেরংয়ের নানা প্রাণির প্রতিকৃতি।
শোভাযাত্রায় বাঙালির সংস্কৃতির পরিচয়বাহী, ঘোড়া, হাতি, মাছ, পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, মোরগের লড়াই, পেঁচা প্রতিকৃতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঁঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর অংশ নেন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন এ শোভাযাত্রার নেতৃত্বে দেন। এতে আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
অপরদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় মঞ্চ বানিয়ে দিনবদলের মঞ্চ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন সকাল থেকেই গানে গানে নববর্ষের জয়গান শুরু করেন। চলবে দিনব্যাপী।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
এমবিএইচ/জিপি