ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ঢাবিতে বর্ষবরণের প্রস্তুতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:৪৪, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ঢাবিতে বর্ষবরণের প্রস্তুতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন নব উল্লাসে মেতে উঠবে কোটি বাঙালির হৃদয়। বাংলার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এই আয়োজনের মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

তবে এবার সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলন স্থগিত করে।

ফলে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নববর্ষ বরণের  প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। আন্দোলন চলাকালীন এ অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন আন্দোলনের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হয়।

জানতে চাইলে ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আন্দোলনের কারণে বর্ষবরণের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ছাত্ররা এখন টানা কাজ করছে। নববর্ষের দিন ভোরে আমাদের সব কাজ শেষ করতে পারব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণের প্রস্তুতি।  ছবি: শাকিল আহমেদপহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বর্ষবরণে ১৪ এপ্রিল (শনিবার) পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ প্রতিপাদ্য ও মর্মবাণী ধারণ করে অনুষ্ঠিত হবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা।  

বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষবরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। আন্দোলনের কারণে ৪-৫ দিন কাজ করা যায় নি। শুক্রবারের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হবে।

নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্তসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ।

নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোন ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালীমন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে পারবেন। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।