বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হাসিবুল হকের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।
আবুল কাশেম পাশু উপজেলার ভেড়াখোলা গ্রামের খোক মোল্লার ছেলে।
শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নওজেশ আলী বাংলানিউজকে জানান, সকালে সন্দেহভাজন আসামী আবুল কাশেম পাশুকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। প্রায় এক ঘণ্টার জবানবন্দিতে তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারা কারা জড়িত সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এসআই নওজেশ আলী।
এসআই জানান, নিহত চা দোকানির চাচার সঙ্গে কাশেমের ডিস লাইনের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এরপর থেকে তাকে নজরদারিতে রাখি। ঘটনার পরদিন থেকে কাশেম নামাজ পড়া শুরু করে। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম করতে শুরু করে। এমনকি একবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন আবুল কাশেম। তার অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ হওয়ায় গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৯ মার্চ উপজেলার গালা ইউনিয়নের ভেড়াখোলা গ্রামের একটি ডোবা থেকে জামাত আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জামাত আলী ওই গ্রামের বিশা মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের চাচি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘন্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএইউ/