বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) রাতে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক কমিটি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় যুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে আনীত প্রস্তাব সাধারণের ওপর আলোচনাকালে শেখ হাসিনাকে প্রশংসায় ভাসান মন্ত্রী-এমপিরা।
বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, যে অর্জন আমরা করেছি এই অর্জন ধরে রাখতে হবে এবং এগিয়ে নিতে হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। আজ ৯৮ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট দিতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে কঠোর হস্তে সন্ত্রাস-জঙ্গি দমন করেছেন। তাকে নিয়ে আজ উন্নয়নশীল বিশ্বে বিভিন্ন গল্প হয়, প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। শেখ হাসিনা সমস্ত চাপ উপেক্ষা করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। যে কারণে এখন অপরাধী যেই হোক না কেনো তার বিচার হয়।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়েছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন সফল হয় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিক অনুসরণ করার ফলে। তার এই যাত্রাপথ সহজ ছিল না। শুরুতেই কাঁটা বিছানো ছিল। শেখ হাসিনা শক্তহাতে দেশবিরোধী শক্তিকে দমন করেছেন। শক্ত হাতে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন করে গণতন্ত্রের প্রাপ্তি ঘটিয়েছেন।
অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, শেখ হাসিনা সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন, মানুষের অবস্থা-দেশের অবস্থা তিনি দেখেছেন। এরপর উন্নয়নের জন্য, অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমরা অনেকের মুখে অনেক বাগাড়ম্বর কথা শুনেছি। কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ দেখিনি। একমাত্র শেখ হাসিনাই দেশকে আজ এই উন্নয়নের ধারায় উন্নীত করতে পেরেছেন।
আব্দুর রহমান বলেন, আজ এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করেছিল বলে। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশের মানুষ পুনরায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছিল বলেই এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশ আজকে যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এটা ধরে রাখতে এবং ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতে থাকলে যেকোন চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করতে পারি।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজিভান্ডারী বলেন, নৌকা ছাড়া আমাদেরও গতি নাই, বাঙালির গতি নাই। নৌকা মার্কায় ভোট দিন।
বিএনএফ সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক নেতার এক দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। নৌকার সরকার বারবার দরকার।
আলোচনায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, নাভানা আক্তার, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি ও জাসদের সংসদ সদস্য শিরিন আখতার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এসকে/এসএম/এমজেএফ