বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবীর।
রাজধানীর ধানমন্ডি ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হিজবুত তাহরীরের ৫ সদস্যকে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মিরাজ ওরফে আব্দুল্লাহ, মনিরুজ্জামান ওরফে পলাশ, মারুফ আহমেদ ওরফে শিবলী, মির্জা আমিনুর রহমান ও ডা. মহিউদ্দিন ফারুক। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী লিফলেট, বই, ম্যাগাজিন, ল্যাপটপ, মোবাইল ও ট্যাব উদ্ধার করা হয়।
লুৎফুল কবীর বলেন, মিরাজ মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে। তার বন্ধু আব্দুল্লাহর মাধ্যমে এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে তিনিবিভিন্ন সময় হিযবুতের লিফলেট বিতরণ করেন।
মনিরুজ্জামান পেশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী। তিনি এ সংগঠনের কর্মী সংগ্রহকারী ও অর্থের অন্যতম যোগানদাতা। মারুফ পেশায় একজন আর্কিটেক্ট। তিনিও এ নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মী সংগ্রহকারী ও অর্থের অন্যতম যোগানদাতা।
আমিনুর একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি দশ বছর ধরে এ নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তিনি হিযবুতের বড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। ডা. মহিউদ্দিন একজন ডেন্টিস্ট। মনিরুজ্জামান ও মিরাজের সঙ্গে তার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। তিনিও বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছিলেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটি কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন আয়াতের খণ্ড অংশ লিফলেটে উপস্থাপন করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতো বলেও জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
পিএম/এসএইচ