বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে ‘বৈসাবি’র মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
চৈত্র সংক্রান্তির শেষ দু’দিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন; এ তিনদিন মূলত: বিঝু পালন করেন চাকমা আদিবাসীরা।
ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উপলক্ষে প্রাণের সেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বৈসাবি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
হাজার হাজার পাহাড়ি-বাঙ্গালির স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে সেটি হয়ে উঠে সর্বস্তরের মানুষের মিলন মেলায়। উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় খাগড়াছড়ি। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নুরুল আমিন।
জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি শহর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে টাউনহল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মারমাদের জলকেলি, ত্রিপুরাদের ‘গরয়া’ নৃত্যসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রারয় অংশ নেয়- সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্যরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
জিপি