শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ভিড় জমায় ওই বাড়িতে। সাহুল তাড়াশ উপজেলা সদরের দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
খাদিজা ওরফে সাহুলের বাবা হাসমত আলী বাংলানিউজকে জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করার পর তার মেয়ে খাদিজা ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়া করছিল। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই তার অস্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। কিছুদিন আগে খাদিজা নিজেই তাদের তার শরীরের পরিবর্তনের বিষয়ে জানান। ক্রমান্বয়ে নারী থেকে পুরুষে রুপান্তর হয়ে যায় খাদিজা। সঙ্গে সঙ্গে আচরণগত পরিবর্তনও এসেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে খাদিজার নাম পরিবর্তন করে সাহুল নাম রেখেছি। নিজের রুপান্তরের বিষয়ে সাহুল বলেন, চলতি বছরের ৩০ মার্চ ঘুম থেকে ওঠে অদ্ভুত শারীরিক পরিবর্তন দেখতে পাই। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করি। পরে বাবা-মাকেও বিষয়টি জানাই। সবাই আমাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিলে নারী থেকে পুরুষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।
তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবুল শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি অস্বাভাবিক হলেও বাস্তব। আমরা কখনো এমন নজির এ এলাকায় দেখিনি।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ হিয়া কামাল বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। এ ধরনের ঘটনা এখন অনেক জায়গাই ঘটছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
আরবি/