বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দলটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তদন্ত দলের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
এদিকে, তদন্ত দলের হাসপাতাল পরিদর্শনের খবর সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মারমুখি আচরণ করেন। ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ জানালে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে দুঃখ প্রকাশ করেন।
পরিস্থিতি শান্ত হলে তদন্ত দলের প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ ও আগামীকাল (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) আমরা এ ঘটনা তদন্ত করবো। শুক্রবার বিকেলে তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবো।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালে ছানি অপারেশন করিয়ে ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন রোগী একটি করে চোখ হারান।
ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটির চক্ষু বিষয়ক সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ের পাঁচ সদস্যের পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি। বিষয়টি নিয়ে এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ক্ষতিগ্রস্তদের কেন এক কোটি টাকা করে দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এসআই