বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটির সমাপনী পর্যবেক্ষণ: নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে আইন আছে তার মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচয় বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে দুদক যেন প্রভাবিত না হয় সেটি মনে রাখতে হবে। না হলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই কঠিন হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটি শুধু দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। এর ফলে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার অর্জনের পথে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে সেটি তারা চিহ্নিত করেছেন। এটি আমরা সব সময় বলে আসছি। জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে সুপারিশের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করতে চাই।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অধিকার দুর্নীতির মাধ্যমেই বিচ্যুত হয়। সুবিধা বঞ্চিতদের বিশেষ দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়েছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। দলিত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার বাস্তবায়নে সরকারকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে অগ্রসর হতে হবে।
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারে বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার কেবল মৌলিক নীতিমালা হিসেবে বর্ণিত হওয়ায় এসব অধিকারের বিচারযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটির সমাপনী পর্যবেক্ষণ: নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা নিয়ে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিবেদন পাঠ করেন আইন সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী তামান্না হক রিতি। এতে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এসই/আরআর