বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতাল অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জামানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বোর্ডের প্রধান ড. শামসুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে দিকে রাজীবকে ড্রেসিং করা হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্তমানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
তিনি মোটামোটি ভালো আছেন। তবে শঙ্কামুক্ত নয় বলেও জানান মেডিকেল বোর্ডের প্রধান।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরের দিক থেকে ফার্মগেটমুখী একটি দ্বিতল বিআরটিসি বাস সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাশে সিগনালে থেমে ছিলো। সে বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজীব। খানিকবাদেই একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহন নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দ্বিতল বাসের বাঁ পাশের ফাঁক দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার (ওভারটেক) চেষ্টা করে।
দুই গাড়ি তখন টক্কর দিতে গেলে চাপে পড়ে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফটকে দাঁড়ানো রাজীবের। হাতটি দ্বিতল বাসের সঙ্গে ঝুলছিলোও তখন। তাৎক্ষণিকভাবে রাজীবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হলেও হাতটি আর জোড়া দেওয়া যায়নি। মঙ্গলবারই রাজীবের অস্ত্রোপচার করা হয়।
এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৪ এপ্রিল) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রাজীবকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তার চিকিৎসা ব্যয় বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিকদের বহন করতে নির্দেশ দেন।
রাজীব হোসেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র। থাকেন যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগের একটি মেসে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এজেডএস/জিপি