বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া এলাকা থেকে রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। রিয়াজ ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার কালিজুরী এলাকার হাবুল মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি- তদন্ত) মাঈন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, গণধর্ষণের পর মা-শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে গ্রেফতার জখলু মিয়া (২২), নজরুল ইসলাম (২৭) ও জয়নাল মিয়া (২৭) হত্যার দায় স্বীকার করে নিজেরা জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৪ মার্চ সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার একরাই হাওর থেকে শিশুসহ নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিপু মালাকার হবিগঞ্জের মাধবপুর মালাকার পাড়ার মৃত দেবেন্দ্র মালাকারের স্ত্রী।
এর আগে ১৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার বাড়িতে যাওয়ার পথে ইজিবাইক চালক রিয়াজসহ চার ঘাতক মিলে দিপু মালাকারকে অপহরণ করেন। অপহরণের পর তারা ওই নারীকে উপজেলার একরাই হাওরে নিয়ে রাতভর শিশুর সামনে মাকে গণধর্ষণ করেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওড়না পেঁচিয়ে দিপুকে হত্যার পর স্বাক্ষী না রাখতে সাত বছরের শিশু বিকাশ মালাকারকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন চার ঘাতক। হত্যার পর মরদেহ হাওরে পানিতে কচুরিপানায় ঢেকে রাখে। পরদিন রাতে গিয়ে চার ঘাতক মিলে মরদেহের উপর লবণ ছিটিয়ে আসে-যাতে শনাক্ত করা না যায়।
গত ২৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় ওসমানীনগরের একরাই হাওর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে দিপু মালাকার ও শিশু বিকাশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারকালে নিহত নারীর পরনে ছিল সেলোয়ার কামিজ।
মরদেহ শনাক্ত করে ২৬ মার্চ নিহতের বড় ছেলে বিজয় মালাকার বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার (২ এপ্রিল) ওসমানীনগর উপজেলার গদিয়ারচর থেকে জখলুর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার গুল্মকাপন এলাকার জবেদ আলীর ছেলে। তারই তথ্যমতে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) ভোরে গদিয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে নজরুল ইসলামকে ও একই গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে জয়নাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে এ তিনজন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এনইউ/এএটি