ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ভারতের মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন এখন বাংলাদেশে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৮, এপ্রিল ৪, ২০১৮
ভারতের মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন এখন বাংলাদেশে কন্টেইনারবাহী ট্রেন

পাবনা: ভারতে থেকে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে গৃহীত ভারত-বাংলাদেশ কন্টেইনার ট্রেন সার্ভিস পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে।

বুধবার (৪ এপ্রিল) প্রায় সাড়ে ১৩শ’ মেট্রিকটন কাঁচামাল নিয়ে ভারত থেকে প্রথম কন্টেইনার ট্রেনটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা চল্লিশ মিনিটে ভারতের ৬০টি কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি বুঝে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ।

বাংলাদেশের রেলওয়ের পক্ষে চালক শামসুর রহমান এবং ট্রেনের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন দিয়ে ভারতের কন্টেনারগুলো বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করায়।

ট্রেনটি দর্শনা সীমান্ত এলাকা থেকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে পৌঁছায় রাত সাড়ে ৮টায়। এসময় ঈশ্বরদী রেলওয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা অসিম কুমার তালুকদারসহ (ডিআরএম পশ্চিম অঞ্চল) পাকশী রেলের কর্মকর্তারা ঈশ্বরদী প্লাটফরমে রেলটিকে স্বাগত জানায়। রেলটি ঈশ্বরদী রেল জংশনের ৪ নম্বর প্লাটফরমে ১৫ মিনিট অবস্থান করে। সেখানে ট্রেনটিকে দায়িত্বরত কর্মকর্মারা ভালো করে পরীক্ষা করে প্লাটফরম ছাড়ার নির্দেশ দেন।

ট্রেনটি ঈশ্বরদী প্লাটফরম পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে আসা চালক শামসুর রহমান বলেন, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম খুব ভালো লাগছে।
প্রথমবারের মত কোনো পণ্যবাহী বিদেশি কন্টেইনার ট্রেন চালিয়ে আনলাম। ট্রেনের গতি ছিলো ৪৫ কিলোমিটার, আরো গতি তোলা সম্ভব ছিল। তবে পরীক্ষামূলক ট্রেন তাই দেখছিলাম পথে কোনো সমস্যা হয় কিনা। কারণ এই ট্রেনের চাকা এবং বগিগুলো একটু আলাদা। তবে কোনো সমস্যা হয়নি। আমি ঈশ্বরদীতে নেমে পড়লে অন্য এক চালক ট্রেনটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত নিয়ে যাবে।

অসিম কুমার তালুকদার জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রথমবারের মত সরাসরি ট্রেনের কন্টেইনারের মাধ্যমে পণ্য আনা নেয়া শুরু হলো। পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেনের কন্টেইনারটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাশে খালাশ হবে। সরবরাহকৃত পণ্যের  মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট তৈরির কাঁচা মাল ও মুরগির খাদ্য।
পর্যায়ক্রমে সব ধরনের মালামাল আনা নেয়া হবে। শুধু আমরাই নয় বাংলাদেশ থেকেও পণ্য ভারতে যাবে এই ট্রেনের কন্টেইনারের মধ্য দিয়ে।

ফলে সময় এবং খরচ উভয় কমবে এবং একইসঙ্গে নিরাপত্তার সঙ্গে অনেক মালমাল পরিবহন করা যাবে। বলা যায় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে ব্যবসার একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। যার মধ্য দিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে গতি ফিরবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।