ভিকটিম কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে বুধবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হাসপাতালে কিশোরটিকে দেখতে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নোমান হোসেন প্রিন্স।
ভিকটিম জানায়, সে স্কুলের হোস্টেলে থাকে। হৃদয় ও শাহীন নামের দশম শ্রেণির দুই ছাত্র বেশ কিছু দিন ধরে তাকে বলাৎকার করে আসছিল। তারা ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ভিকটিমকে চাপ দেয়। ভয়ে ঘটনার কথা কাউকে বলেনি সে। স্কুলের শিক্ষকরাও তাকে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ভয় দেখায়। অবশেষে সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঘটনা প্রকাশ করে।
ভিকটিমের মা বলেন, আমার ছেলেকে ভাল রেজাল্ট করার জন্য হোস্টেলে দিয়েছিলাম। হোস্টেলে ভর্তি করার পর প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করা হতো বলে জানাতো। আমি বিশ্বাস করতাম না।
মনে করতাম, লেখাপড়ার ভয়ে এসব বলছে। এরপরও আমার বাচ্চাকে চাপ সৃষ্টি করে হোস্টেলে পাঠাই। পরবর্তীতে এ সমস্যার কথা শুনতে পাই।
তিনি আরো বলেন, বুধবার আমার ছোট বোন হোস্টেলে গেলে সে তার কাছে সব খুলে বলে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নোমান হোসেন প্রিন্স বলেন, দুই ধর্ষককে আটক করে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
আরএ