বুধবার (৪ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর শাহবাগে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ফেসবুক ইভেন্ট থেকে একত্রিত হওয়া এসব শিক্ষার্থীরা এসময় পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে।
আন্দোলনরত এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, এদেশে একজন নারী কতটা অনিরাপদ, তা ধর্ষণের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। পাশাপাশি এটাও লক্ষ্যণীয় যে, ধর্ষণের সংখ্যাটা ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও তার বিপরীতে ধর্ষকদের শাস্তি হচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তি ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক ও চরিত্র নিয়েও কথা তোলেন, যা মোটেই কাম্য নয়।
আন্দোলনে ইতমাম ইসলাম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে প্রথম তিনমাসে ধর্ষণ হয়েছে ১৮৭টি। এর সংখ্যা হয়তো আরো বেশি যেগুলো আমরা জানি না। এদের মধ্যে মাত্র ৭ জন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অবস্থার জন্য প্রশাসনই দায়ী বলে আমরা মনে করি।
মাহমুদুল হাসান রাফি বলেন, আমরা ১ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। এর মধ্যে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ, হাতে মোম ও মুখে লাল-কালো কাপড় বেঁধে প্রতীকী মৌন মিছিল, সুপ্রীম কোর্টের সামনে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। আমরা চাই ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে দ্রুতবিচার আইনে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাত দিনের মধ্যে মার্চ মাসে ঘটা সব ধর্ষণের অপরাধীদের আটক করা, ধর্ষকদের আইনি সুবিধা প্রদায়ক আইন সম্বলিত ২৮(৪) ধারা সংশোধন, ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা, পরিবার এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের সঠিক 'সেক্স এডুকেশন' নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণের সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রণয়নের জন্য জোর দাবি জানান।
এসময় বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা; এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এইচএমএস/আরএ