বুধবার (০৪ এপ্রিল) রাতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মোংলা বন্দর এ অঞ্চলসহ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
বর্তমান সরকার সুদূর পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বন্দরের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। ফলে বন্দরটি ব্যবহারকারীদের কাছে আকৃষ্ট হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সিংহভাগ বাণিজ্য হয় নৌপথে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে বন্দরকে আরও আধুনিক করতে হবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে সড়ক পথে মোংলা বন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বন্দরের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর বন্দরের ওপর নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মোংলা বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মোংলা বন্দরে দু’টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান ও বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি সপরিবারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাতে বন্দরের রেস্ট হাউস ‘পারিজাতে’ থাকবেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) সকালে বিলাসবহুল জাহাজে করে তিনি পশুর চ্যানেল পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর বন্দর প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলেও রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে তা পিছিয়ে ৪ এপ্রিলে আনা হয়েছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
** মোংলায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
আরএ