বুধবার (৪ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নোমান হোসেন প্রিন্স অভিযুক্ত কলিমউল্লাহকে আটক করার বিষয়টি জানান। কলিমউল্লাহ উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়ামুড়া এলাকার বাসিন্দা।
লালসার শিকার কিশোরী মেয়ের মা ও স্বজনদের বরাত দিয়ে প্রিন্স বাংলানিউজকে জানান, কলিমউল্লাহর সঙ্গে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। তাদের দু’টি মেয়ে ছিল। বিচ্ছেদের পর ছোট মেয়ে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে চলে গেলেও বড় মেয়ে লেখাপড়ার জন্য কলিমউল্লাহর কাছে থাকতে বাধ্য হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালে হঠাৎ একদিন মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দেন কলিমউল্লাহ।
পরের মাসের কোনো একদিন কলিমউল্লাহ কিশোরী মেয়েটিকে তার সঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য করেন এবং পাশবিক লালসা চরিতার্থ করেন। এরপর থেকে প্রাণনাশসহ নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকেন মেয়েটিকে। একপর্যায়ে সে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় কলিমউল্লাহ স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আরিফ উল্লাহর সহযোগিতায় তড়িঘড়ি করে গত জানুয়ারিতে ওই মেয়েকে তার এক ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের চারদিন পর মেয়েটি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
এ কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে ২৮ দিনের মাথায় তার কন্যা সন্তানটিও মারা যায়। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে ১ এপ্রিল মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে নানার বাড়িতে মায়ের কাছে আশ্রয় নেয়।
ইউএনও প্রিন্স বলেন, অভিযোগ পেয়ে ধর্ষিতা মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে লম্পট কলিমউল্লাহকে আটক করেছি।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষক ও তার সহযোগী মেম্বার আরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
টিটি/এইচএ/