ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদ হাসানকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫২, এপ্রিল ৪, ২০১৮
ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদ হাসানকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবি মানববন্ধনে শিক্ষক-কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ এবং দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকা নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

বুধবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় তারা এ দাবি জানান।  

এ মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।

মানববন্ধনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে যবিপ্রবির নীল দলের আহ্বায়ক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, জাতির জনককে যারা যথাযথ সম্মান দিতে পারে না, তারা এ দেশের নাগরিক হতে পারে না।  

মানববন্ধনে যবিপ্রবি নীল দল চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো: মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী নিষিদ্ধকরণ, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকা সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধকরণ, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে আপিল বিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধি রেখে আইন প্রণয়ন করা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোর্শেদ হাসান খান বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ নামে একটি লেখনিতে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানকে দাবি করেন এবং তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেন।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আনিছুর রহমান, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. জিয়াউল আমিন, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ দেবেন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ।

মানববন্ধন পরিচালনা করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
ইউজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।